শেরপুরে বর্ডার হাট স্থাপনে ভারত-বাংলাদেশ সভা
প্রকাশিত : ১৯:৪৪, ৫ এপ্রিল ২০২৩
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী পোড়াগাঁও ইউনিয়নের খলচান্দা গ্রামে বর্ডার হাট স্থাপনের লক্ষ্যে ভারত এবং বাংলাদেশের প্রাথমিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৫ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১১১২ (টু এস) ও ১১১২ (থ্রী এস) সংলগ্ন নোম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক জানান, নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্ত এলাকায় পার্শবর্তী দেশ ভারতের সাথে যৌথভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোড়দার ও পরিচালনা করার জন্য সরকার বর্ডার হাট স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহন করে। এরই ধারাবাহিকতায় স্থান নির্ধারণের জন্য দু পক্ষ আজ প্রাথমিক আলোচনায় মিলিত হন।
নাকুগাঁও স্থলবন্দর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার পশ্চিম দিকে পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারমারী এলাকার সীমান্তবর্তী আন্ধারুপাড়া খলচান্দা গ্রামের জিরো পয়েন্টের সীমান্ত পিলার ১১১২ (টু এস) ও ১১১২ (থ্রী এস) এলাকায় বর্ডার হাট স্থাপনে মতানৈক্য হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার ভারত ও বাংলাদেশের জেলা প্রশাসক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক, আতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান, নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্টফার হিমেল রিছিল, বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি)’র সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন, নাকুগাঁও স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম ও পোড়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিনসহ একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মেঘালয় রাজ্যের তুড়া জেলার ডেপুটি কমিশনার শ্রী জগদিশ চিলানী, ১০০ বিএসএফের কমান্ডেন্ট শ্রী অলয় কুমার তিউরী, এডিশনাল ডেপুটি কমিশনার শ্রী ডিবিজি. মমিন, এডিশনাল পুলিশ সুপারেন্ট্যান্ট সুচিনাগ এমপিএস, এসিষ্ট্যান্ট কমিশনার শ্রী সুমিত কুমার সিং, বøগ ডেভলপমেন্ট অফিসার শ্রী উত্তম তামু সিএইচ সাংমা, জেলা ফাংশনাল ম্যানেজার শ্রী সেন সেংগাং টি সাংমাসহ তুড়া জেলার ১১জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার বলেন, বর্ডার হাট স্থাপনের লক্ষ্যে আজ আমরা ভারত-বাংলাদেশ জেলা প্রশাসক পর্যায়ে ১১জন প্রতিনিধি এই যৌথ সভায় অংশগ্রহণ করলাম। এবং আমরা দুই পক্ষই প্রস্তাবিত বর্ডার হাটের স্থান পরিদর্শন করেছি। আমরা বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো এবং উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা পেলেই পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করব।
তিনি আরও বলেন, সীমান্ত এলাকায় চোরা চালান বন্ধ সহ ব্যবসা বাণিজ্যের মাধ্যমে স্থানীয়দের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হবে।
এমএম/
আরও পড়ুন